সৌদি আরবে বাংলাদেশী নারী কর্মী অন্তরা আক্তারের মর্মান্তিক মৃত্যু

অন্তরা আক্তার প্রায় দেড় বছর আগে দালাল এনামুলের মাধ্যমে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ শহরে গৃহকর্মীর কাজের উদ্দেশ্যে গমন করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতির আশায় তিনি মরুর দেশ সৌদি আরবে পাড়ি জমান।
কিন্তু বিদেশের মাটিতে তাঁর জীবনে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। ০৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অন্তরা আক্তার আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর পূর্বে জানা যায়, তিনি সুজন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই সুজন নামের ব্যক্তি ভিডিও কলে কথা বলার সময় অন্তরার ব্যক্তিগত ভিডিও রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে ও তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে।
নির্মম ব্ল্যাকমেইলিং ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়ে অন্তরা চরম হতাশায় ভুগছিলেন। একপর্যায়ে, তিনি ভিডিও কলে তার স্বামী ও ব্ল্যাকমেইলকারী সুজন ও তার মামাতো বোনের উপস্থিতিতে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যুর আগে অন্তরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে যান—
আমার মৃত্যুর জন্য
আমার ছেলে সন্তান বা
স্বামী দায়ী নয়, সম্পূর্ণ দায়
সুজন নামক ব্যক্তির।”
সুজনের ঠিকানা: জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।
অন্তরা আক্তার তাঁর পেছনে রেখে গেছেন দুই শিশু সন্তান
বড় ছেলে: মাহাদী (৯)ছোট ছেলে: মাহিন (২.৫)
এবং তাঁর স্বামী মোঃ সুজন মিয়া।
অন্তরার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার ফেনারপার গ্রামে
অন্তরা আক্তারের মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো সমাজের জন্য একটি বেদনাদায়ক বার্তা। প্রবাসী নারী শ্রমিকদের অনলাইন হয়রানি, ব্ল্যাকমেইল ও মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া এখন সময়ের দাবি





